বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি কি? প্রকার ও উদাহরণ

বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি কি?

বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি (Intellectual property) বলতে বোঝায় মূলত মেধা সম্পত্তি। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, চিন্তাভাবনা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে কোনো কিছু তৈরি করলে, সেটি ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি। 

বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির উদাহরণের মধ্যে রয়েছে আবিষ্কার, শিল্পকর্ম, নকশা, প্রতীক, নাম প্রভৃতি অন্তর্ভূক্ত। এছাড়াও ট্রেডমার্ক, পেটেন্ট, কপিরাইট, ভৌগলিক নির্দেশক, ট্রেড সিক্রেট ইত্যাদি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির অন্তর্ভূক্ত।

বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি একজন ব্যক্তি বা কোম্পানির সম্মতি ছাড়াই অন্য কেউ ব্যবহার বা মালিকানা দাবি করতে পারে না। বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সুরক্ষার জন্য কিছু আইন রয়েছে যেমন, কপিরাইট আইন—২০০০, ট্রেডমার্ক আইন—২০০৯, পেটেন্ট ও ডিজাইন অ্যাক্ট ১৯১১।

বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির প্রকার

বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির অনেক প্রকার রয়েছে  এবং প্রতিটি প্রকার আলাদাভাবে আইনগত সুরক্ষিত। বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির মধ্যে — কপিরাইট, ট্রেডমার্ক, পেটেন্ট এবং ট্রেড সিক্রেট, ভৌগলিক নির্দেশক, ডিজাইন অন্যতম।



বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি কি? প্রকার ও উদাহরণ, azhar bd academy

১. কপিরাইট: কপিরাইট আইন সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি নিশ্চিত করে, যা স্বীকৃতির সাথে অর্থনৈতিক সুবিধাও নিশ্চিত করতে পারে। এর মাধ্যমে ব্যক্তির প্রকাশিত কর্ম নকল করা থেকে অন্যকে বিরত রাখার আইনগত নিশ্চয়তা।

২. ট্রেডমার্ক: ট্রেডমার্ক বলতে বোঝায় কোন একটি বিশেষ চিহ্ন বা প্রতিক যা অন্য একটি পণ্য থেকে নিজের পণ্যকে আলাদা করে।

৩. পেটেন্ট: পেটেন্ট অর্থ কৃতিস্বত্ব। সরকার কর্তৃক একজন উদ্ভাবককে একচেটিয়া অধিকার প্রদানের অনুমোদনপত্র। যার মাধ্যমে আবিষ্কৃত কোন কিছু নতুন করে প্রস্তুত বা নকল থেকে রক্ষা পায়। পেটেন্ট দেওয়া হয় মূলত বিজ্ঞান বা প্রযুক্তিগত কোনো আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের জন্য। 

৪. ট্রেড সিক্রেট: ট্রেড সিক্রেট বা বাণিজ্য গোপনীয়তা হল এক ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি যার মধ্যে সূত্র, অনুশীলন, প্রক্রিয়া, নকশা, যন্ত্র, নিদর্শন বা তথ্যের সংকলন অন্তর্ভুক্ত। ট্রেড সিক্রেট আইন দ্বারা এগুলো অন্য কোথাও প্রকাশ করা থেকে অন্যদের সীমাবদ্ধ করে।

৫. ভৌগলিক নির্দেশক: ভৌগলিক নির্দেশক চিহ্ন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির একটি প্রকার যা কোনো পণ্যের একটি নির্দিষ্ট উৎপত্তিস্থলের কারণে এর খ্যাতি বা গুণাবলী নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত জিআইতে উৎপত্তিস্থলের নাম (শহর, অঞ্চল বা দেশ) অন্তর্ভুক্ত থাকে।

Leave a Comment