গবেষণার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া বা ধাপ অনুসরণ করতে হয়। এই ধাপগুলো ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন
করার মাধ্যমে গবেষণার কাজ সমাপ্ত হয়।
১. সমস্যা চিহ্নিতকরণ (Problem Identification): গবেষণার প্রধান কাজ হচ্ছে প্রথমে সমস্যা চিহ্নিত করা। আমাদের চারপাশে অসংখ্য সমস্যা বিদ্যামান। একজন গবেষকের কাজ হচ্ছে সেই সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করা এবং এর সমাধান বের করা। তবে বুঝতে হবে যে সমস্যাটির আসলে গবেষণার প্রয়োজন আছে কিনা। সুতারাং প্রথমে সেই সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে যা গবেষণার জন্য উপযুক্ত।
২. গ্রন্থ পর্যালোচনা (Review of literature): সাহিত্য পর্যালোচনা হল গবেষণা প্রক্রিয়ার একটি প্রধান অংশ। সমস্যা চিহ্নিত হওয়ার পর গবেষকের সেই সমস্যা সম্পর্কে বিস্তর জানা-শোনা প্রয়োজন। এটি একজন গবেষককে তাঁর গবেষনা বিষয়ের গ্যাপ সম্পর্কে ধারণা দিবে। এবং সেই সুনির্দিষ্ট দিকগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে তার গবেষণা পরিচালিত করবে। সাহিত্যের যথাযথ পর্যালোচনার মাধ্যমে গবেষক তার অধ্যয়নের ফলাফলের সাথে পূর্বকার ফলাফলগুলির মধ্যে সমন্বয় বিকাশ সাধন করতে পারবে। গবেষকের অনুরূপ বা সম্পর্কিত ঘটনার সাথে পূর্ববর্তী দলিলগুলির এটা একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা বলা হয়ে থাকে।
সাহিত্য পর্যালোচনা করার পক্ষে নিম্নলিখিত যুক্তি সমূহ:
- এটি অতীতে করা কাজটির সাদৃশ্যতা এড়িয়ে চলে।
- এটি গবেষককে সমস্যা সম্পর্কে অন্যেরা কী বলেছে তা খুঁজে পেতে সহায়তা করে।
- এটি গবেষককে অন্যদের অনুসরণ করা পদ্ধতিগুলির সাথে পরিচিত হতে সহায়তা করে।
- এটি অনুসন্ধানের ধারণা এবং তত্ত্বগুলো প্রাসঙ্গিক কিনা তা বুঝতে গবেষককে সহায়তা করে।
- এটি গবেষককে অনুসন্ধানে কোনও বিতর্ক, দ্বন্দ্ব এবং অসঙ্গতি রয়েছে কিনা তা বুঝতে সহায়তা করে।
- এটি কোনও অনুত্তরিত গবেষণা প্রশ্ন আছে কিনা তা গবেষককে বুঝতে সক্ষম করে।
আরো পড়ুন, গবেষণা প্রস্তাব লেখার নিয়ম
রিসার্চ অবজেক্টিব বা গবেষণা উদ্দেশ্য হ'ল একটি সুশৃঙ্খল এবং পরীক্ষামূলক গবেষণা অনুমান। হাইপোথেসিস বা অনুমান হচ্ছে একটি অপ্রমাণিত বিবৃতি বা প্রস্তাব যা প্রতীকী ডেটা দ্বারা খণ্ডন বা সমর্থন করা যায়। হাইপোথিটিক্যাল স্টেটমেন্ট বা গবেষণা অনুমানগুলো একটি গবেষণা প্রশ্নের একটি সম্ভাব্য উত্তরে জোর দেয়।
৪. গবেষণার জন্য সঠিক পদ্ধতি ও ডিজাইন নির্বাচন (Research method and design): গবেষণার মূল উদ্দেশ্য এবং গবেষণামূলক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার নীল নকশা বা কাঠামো। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে গবেষক তার উত্তর পেয়ে থাকে।
একজন গবেষক তার গবেষণা নকশা বা কাঠামোর জন্য নিম্নে বর্ণিত পন্থাগুলো অনুসরণ করে।
- পরিক্ষা ( Experiment)
- সমীক্ষা বা জরিপ (Survey)
- মাধ্যমিক তথ্য অধ্যয়ন ( Secondary data study)
- পর্যবেক্ষণ অধ্যয়ন (Observational study)
৫. তথ্য সংগ্রহ (Collecting Data): গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ হতে পারে সাধারণ পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে বড় আকারের জরিপ। গবেষণার উদ্দেশ্য, নকশা, সময়, অর্থ, এবং গবেষণার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করার কাজটি সম্পন্ন করতে হয়। ডেটা বা তথ্য গুণগত এবং পরিমানগত উপায়ে সংগ্রহ করা যায়। পরিমাণগত মাধ্যমগুলোর অন্যতম হলো কাঠামোগত সাক্ষাতকার। জরিপ ও প্রশ্নাবলির মাধ্যমেও তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে।
৬. ডেটা বা তথ্য প্রক্রিয়াকরন ও বিশ্লেষণ (Data Processing and analyzing):
৭. প্রতিবেদন তৈরি (Making Research report)
৮. গ্রন্থপঞ্জি বা রেফারেন্স (Citation/bibliography)
আরো পড়ুন, গ্রন্থপঞ্জি লেখার নিয়ম
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link