সিভি হচ্ছে একজন মানুষের সার্বিক জীবন বৃত্তান্ত। এতে চাকরি প্রার্থীর পরিচয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের দক্ষতা, অর্জন, এবং গুণাবলী সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা থাকে। যে কোন প্রতিষ্ঠান চাকরি প্রার্থীকে যাচায়-বাছাই করতে সিভি নিয়ে থাকে। এটি হচ্ছে চাকরির প্রথম ধাপ। একটি ভালো মানের সিভি আপনাকে আপনার কাংখিত জব পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। সিভিকে বলা হয় একজন প্রার্থীর প্রথম দর্শন। এই প্রথম দর্শনে যেন আকৃষ্ট করে তার জন্য একটি আধুনিক সিভি তৈরি প্রয়োজন।
সময়ের সাথে সাথে যেমন চাহিদা পরিবর্তন হয়, তেমনিভাবে সিভির কাঠামো ও মানও পরিবর্তন হয়। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সিভি তৈরি করতে হয়। তবে চাকরিভেদে সিভির ধরণ পরিবর্তন করতে হয়। এর জন্যে চাকরির ধরণ অনুযায়ী এটি তৈরি করে নিতে হয়।
সিভি হতে হবে একদম স্বচ্ছ ও সংক্ষিপ্ত। এছাড়া নতুন চাকরি প্রার্থী এবং পুরাতন চাকরি প্রার্থীর সিভির ধরণ একটু ভিন্ন হয়। কারণ নতুনদের কাজের বিবরণ ও অভিজ্ঞতা কোনটাই থাকে না। তাই এই জায়গাগুলো খালিই থাকে। যাইহোক, চলুন জেনে নেওয়া যাক আধুনিক সিভি লেখার নিয়ম ও সিভির বিভিন্ন ফরমেট।
সিভি লেখার নিয়ম
সিভি বা জীবন বৃত্তান্ত লেখার ক্ষেত্রে নিম্মোক্ত বিষয়গুলো লিখতে হবে। যদিও চাকরিভেদে এবং অভিজ্ঞতা অনুসারে সিভির লেখার ধরন এবং ফরমেট আলাদা হতে পারে।
1. Tittle: টাইটেল বা শিরোনামে আপনার সার্টিফিকেটে যেই নাম আছে তা ইংরেজিতে লিখবেন।
2. Expericences: বর্তমানের সিভি ফরম্যাটে শিরোনামের পরপরই প্রার্থীর কাজের অভিজ্ঞতার বিবরণ দেওয়া হয়। এতে চাকরি দাতা শুরুতে আপনার সম্পর্কে জেনে যাবে। তবে ফ্রেসারদের কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে, চাকরির সাথে কিছুটা মিলে যায় এমন কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেটি দিতে পারেন।
3. Career Objectives: ক্যারিয়ার লক্ষ্য চাকরির সাথে মিলিয়ে তৈরি করে নিবেন। কারণ চাকরিভেদে এটি পরিবর্তন করে নিতে হয়। আপনি যে কোম্পানীতে জবের জন্য আবেদন করেছেন, সেটার সাথে মিল রেখে আপনার ক্যারিয়ার লক্ষ্য স্থির করতে হবে। এতে চাকরিদাতা আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদাভাবে দেখবে। যদি তাদের কোম্পানীর লক্ষ্যের সাথে আপনার ক্যারিয়ার লক্ষ্য মিলে যায়, তাহলে আপনার চাকরী পাওয়াটা প্রায় নিশ্চিত।
4. Education Qualification: শিক্ষাগত যোগ্যতা চাকরির জন্য একটি প্রধান শর্ত। সিভিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখার সময় একদম সাম্প্রতিক যে ডিগ্রি অর্জন করেছেন সেটি প্রথমে লিখুন। এরপর বাকিগুলোও ধারাবাহিকভাবে লিখুন। অনার্স/মাস্টার্স বা অন্যন্য ডিগ্রির নাম, পঠিত বিষয়, প্রতিষ্ঠানের নাম, এবং পাসের বছর শিক্ষাগত যোগ্যতায় সন্নিবেশ করতে হবে।
5. Skills and Interest: আপনার কোন দক্ষতা এবং কৌতুহল থাকলে সেটি অবশ্যই সিভিতে অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে আপনার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়। স্কিল বা দক্ষতার মধ্যে সাধারণভাবে মাইক্রেসফ্টের অফিস প্রোগ্রাম (এক্সেল, ওয়ার্ড,পাওয়ারপয়েন্ট) ইত্যাদি জানা। এছাড়া কম্পিউটার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইংরেজি স্পোকিং, যোগাযোগ ইত্যাদি দক্ষতা সমূহ অন্তর্ভুক্ত। আপনার কোন বিষয়ে অধিক কৌতুহল আছে তাও বর্ণনা করতে পারেন।
6. Personal Information: ব্যক্তিগত তথ্যে আপনার নাম, মাতা-পিতার নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয়তা, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, ওজন, উচ্চতা, ভোটার আইডি নাম্বার, স্থায়ী/অস্থায়ী ঠিকানা বিষয়গুলো থাকবে।
7. Contacts: যোগাযোগ সিভির একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। এতে আপনার নামের সাথে সামঞ্জস্য হয় এমন একটি ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করুন। এছাড়াও আপনার মোবাইল নাম্বার, লিংকডইন আইডি অথবা ফেসবুক আইডি লিংক দিতে পারেন। ফলে চাকরিদাতা আপনার সম্পর্কে সামাজিক সাইটে বিশদভাবে জানতে পারবে।
8. Reference: চাকরি প্রার্থীর জন্য রেফারেন্স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার পরিচিত উচ্চ পদস্থ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমন কাউকে রেফারেন্স হিসেবে দিতে পারেন। তবে রেফারেন্স দেওয়ার আগে তাঁর কাছ থেকে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে নিবেন। রেফারেন্স অংশে সেই ব্যক্তির নাম, মোবাইল নাম্বার, এবং ইমেইল আইডি ব্যবহার করবেন।
9.Signiture: সিভির একদম শেষে আপনার হাতে লেখা স্বাক্ষরের ছবি তুলে দিবেন। নিচে অবশ্যই টাইপ করে ইংরেজিতে আপনার নাম লিখবেন।
আরো পড়ুন, আধুনিক সিভি লেখার নিয়ম, ও ফরমেট
সিভির ফরমেট
সিভির কয়েকটি প্রিমিয়াম ফরম্যাট দেওয়া হল। আপনার সিভি তৈরি করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন অথবা সিভির ফরমেট নিতে ইমেইল করুন।
Email- abdurazhar3@gmail.com
দুই পেজ এর সিভি
২ পেজের সিভি তৈরি করতে অথবা ফরমেটটি নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
সিভি লেখার সময় যেসব ভুল করা যাবে না।
- ব্যাকরণগত ও শব্দগত ভুল পরিহার করা।
- সিভি অবশ্যই A4 সাইজে লিখতে হবে।
- টাইমস নিউ রোমান অক্ষরে লেখা।
- অতিরিক্ত উজ্জ্বল কালার ব্যবহার না করা।
- ভাষা যথাসম্ভব স্বচ্ছ ও সংক্ষিপ্ত রাখা।
- সিভির লেয়ার ও মার্জিন ঠিক রাখা।
- কোনপ্রকার ভুল তথ্য না দেওয়া।
- রেফারেন্স সঠিকভাবে দেওয়া।
- সিভির ভাষা সাবলীল রাখা।
- সাম্প্রতিক তোলা ফরমাল ছবি এটাচ করা।
- সিভির সকল ফ্রন্ট একই রাখা। ভিন্ন সেকশনের জন্য আলাদা ফ্রন্ট না দেওয়া।
- সিভি সবসময় আপ-টু-ডেট রাখা।
আপনার সিভি তৈরি করতে অথবা সিভির ফরমেট নিতে যোগাযোগ করুন
Vaiya apnar CV format ta dawa jabe please?
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link