বাংলা বানান রীতি
১. বিদেশি শব্দের শেষে ঈ-কার হবে না। সর্বদা ই-কার হবে। যেমন : লাইব্রেরি, বেবি, মসজিদ,।
২. সংক্ষিপ্ত নামের ক্ষেত্রে ডট (.) চিহ্ন বসবে। যেমন : বি.এস.সি, বি.এ, পি.এইচ.ডি ইত্যাদি।
৩. স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে ঈ-কার হয়। কাকলী, রেশমী, চৈতালী, রূপালী। তবে, স্ত্রীবাচক আত্মীয় স্বজনের ক্ষেত্রে ই-কার হয়। যেমন : মামি, কাকি, চাচি,দাদি,শাশুড়ি, নানি।
৪. দেশ, জাতি, ও ভাষার নাম ই-কার দিয়ে ব্যবহৃত হয়। যেমন : ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রাজিল, কোরিয়া, বাঙালি, জাপানি, নেপালি, মান্দারিন, হিন্দি, আরবি, ইংরেজি, ফরাসি। কিছু ব্যতিক্রম- চীন, শ্রীলঙ্কা, মারদ্বীপ।
২. সংক্ষিপ্ত নামের ক্ষেত্রে ডট (.) চিহ্ন বসবে। যেমন : বি.এস.সি, বি.এ, পি.এইচ.ডি ইত্যাদি।
৩. স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে ঈ-কার হয়। কাকলী, রেশমী, চৈতালী, রূপালী। তবে, স্ত্রীবাচক আত্মীয় স্বজনের ক্ষেত্রে ই-কার হয়। যেমন : মামি, কাকি, চাচি,দাদি,শাশুড়ি, নানি।
৪. দেশ, জাতি, ও ভাষার নাম ই-কার দিয়ে ব্যবহৃত হয়। যেমন : ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রাজিল, কোরিয়া, বাঙালি, জাপানি, নেপালি, মান্দারিন, হিন্দি, আরবি, ইংরেজি, ফরাসি। কিছু ব্যতিক্রম- চীন, শ্রীলঙ্কা, মারদ্বীপ।
৬. ঈয় প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দে ঈ-কার হয়। ‘য়’ এর পূর্বের বর্ণ সব সময় ঈ-কার গ্রহণ করে। যেমন : জাতীয়, আত্মীয়। ব্যতিক্রম ক্ষত্রিয়, প্রিয়, সক্রিয়, ইন্দ্রিয়।
৭. ইত / ইকা প্রত্যয় পূর্বে ঈ-কার হয়।যেমন : জীবিত, পিপীলিকা, জীবিকা, বিভীষিকা, মরীচিকা। কিছু শব্দে ঈ-কার ২ বার ব্যবহার হয়। জীবী, ভাগীরথী, মনীষী, সমীচীন।
৮. শব্দের শেষে ঈ-কার থাকলে এবং এরপর কোন বর্ণসমষ্টি যুক্ত করলে ঈ-কার ই হয়ে যাবে। যেমন: দায়ী - দায়িত্ব, মন্ত্রী - মন্ত্রিত্ব, কৃতী - কৃতিত্ব, সহযোগী - সহযোগিতা, প্রতিযোগী - প্রতিযোগিতা, প্রাণী - প্রাণিবিদ্যা, বিলাসী - বিলাসিতা।
৯. কি / কী ব্যবহার নিয়ম
কোন প্রশ্নের উত্তর হ্যা বা না বোধক হলে ‘কি’- বসবে। যেমন : রহিম কি বাজরে গেছে?, তুমি কি আছ?। আর কোন প্রশ্নের উত্তরে বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতে চাইলে কী- ব্যবহার হয়। যথা : বাজার থেকে কী এনেছ?, সকালে কী খেয়েছ?
১০. দু / দূ এর ব্যবহার
দূরত্ব বোধক শব্দ বোঝালে ঊ-কার ব্যবহার হয়। যেমন- দূর, দূরবীন, দূর দর্শন, দূরবর্তী, দূরবীক্ষণ। আর অন্য সকল ক্ষেত্রে উ-কার ব্যবহৃত হয়। দুর্বল, দুর্বার, দুর্ভিক্ষ, দুর্গম, দুর্ঘটনা ইত্যাদি। তবে কিছু ব্যতিক্রম দূষণ, দূত।
১১. স / ষ এর নিয়ম
অ/আ ধ্বনির পর সব সময় দন্ত্য- স বসে। যথা: পুর+কার= পুরস্কার, নম: কার= নমস্কার। এরুপ ভাস্কর, বনস্পতি। অন্য সব ক্ষেত্রে মূর্ধন্য-ষ ব্যবহৃত হয়। যেমন: পরি + কার = পরিষ্কার, বহি: + কার = বহিষ্কার। এরুপ আবিষ্কার, দুষপ্রাপ্য, চতুষ্পদ, নিষ্পাপ, মানুষ, পুরুষ, ভ্রাতুষ্পুত্র ইত্যাদি।
১২. স্ব / স এর ব্যবহার
স্ব- নিজ, নিজের বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: স্বদেশ= নিজের দেশ, স্বগতোক্তি= নিজের উক্তি বা কথা।
স- সহ/একত্রে বুঝাতে ব্যবহার হয়। যথা: সপরিবার= পরিবার সহ, সস্ত্রীক= স্ত্রী সহ।
বি:দ্র: দন্ত- স যুক্ত এমন কোন শব্দের পর ইত প্রত্যয় যোগ করা যাবে না। যেমন: চিত্র-সচিত্র, কিন্তু সচিত্রিত ব্যবহার করা যাবে না।
১৩. স্বাক্ষর / সাক্ষর ব্যবহার
স্বাক্ষর = (স্ব+অক্ষর), এটি সাধারণত দস্তখত বুঝাতে ব্যবহার হয়।
সাক্ষর = (অক্ষর জ্ঞান) যারা অক্ষর লিখতে ও বলতে পারে।
১৪. হ্ণ / হ্ন ব্যবহার
হ্ণ = (হ্ + ণ) শব্দের ‘র’ এর মতো উচ্চারণ থাকলে। যেমন অপরাহ্ণ, পূর্বাহ্ণ।
হ্ন = (হ্ + ন) শব্দে ‘র’ এর মতো উচ্চারণ না থাকলে। যথা: মধ্যাহ্ন, চিহ্ন, আহ্নিক, সায়াহ্ন।
স্ব- নিজ, নিজের বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: স্বদেশ= নিজের দেশ, স্বগতোক্তি= নিজের উক্তি বা কথা।
স- সহ/একত্রে বুঝাতে ব্যবহার হয়। যথা: সপরিবার= পরিবার সহ, সস্ত্রীক= স্ত্রী সহ।
বি:দ্র: দন্ত- স যুক্ত এমন কোন শব্দের পর ইত প্রত্যয় যোগ করা যাবে না। যেমন: চিত্র-সচিত্র, কিন্তু সচিত্রিত ব্যবহার করা যাবে না।
১৩. স্বাক্ষর / সাক্ষর ব্যবহার
স্বাক্ষর = (স্ব+অক্ষর), এটি সাধারণত দস্তখত বুঝাতে ব্যবহার হয়।
সাক্ষর = (অক্ষর জ্ঞান) যারা অক্ষর লিখতে ও বলতে পারে।
১৪. হ্ণ / হ্ন ব্যবহার
হ্ণ = (হ্ + ণ) শব্দের ‘র’ এর মতো উচ্চারণ থাকলে। যেমন অপরাহ্ণ, পূর্বাহ্ণ।
হ্ন = (হ্ + ন) শব্দে ‘র’ এর মতো উচ্চারণ না থাকলে। যথা: মধ্যাহ্ন, চিহ্ন, আহ্নিক, সায়াহ্ন।
অনেক বই টই পড়ার পরে এইখানে মনের মতো কইরা পাইলাম❤️
উত্তরমুছুনThanks for your valuable feedback
মুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link