ফুটনোট কি?
গবেষণাপত্র বা বইয়ের প্রতিটি পাতার নিচে যে টীকা দেওয়া থাকে, তাকে ফুটনোট বা পাদটীকা বলে। ফুটনোটগুলো হচ্ছে একটি পৃষ্ঠার পাদদেশে রাখা টীকা, যা রেফারেন্সের উদ্ধৃতি দেয় বা তার উপরে লেখা একটি নির্দিষ্ট অংশের মন্তব্য করে। আর যেহেতু এটা পেইজের নিচে থাকে, তাই এটাকে ফুটনোট বলা হয়ে থাকে।
কোন বাক্যের সাথে সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্য দেওয়ার জন্য ফুটনোট পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। কারণ বাক্যের সাথে সম্পর্কিত তথ্যসমূহ যদি সেই লেখার মধ্যে দেয়া হয়, তখন লেখার ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়ে যায়।
তাই সেইসব বাক্যের সাথে নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে দেয়া হয় এবং সেই একই পাতার ঠিক নিচে নম্বর অনুসারে বিষয়টি সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য বা তথ্যনির্দেশ লিখে দেওয়া হয়। যাতে করে একজন পাঠক সেই টপিক সম্পর্কে বিশদ জানতে পারে। এতে করে লেখকের লেখার ধারাবাহিকতা নষ্ট হয় না, আবার একজন পাঠকও মেইন আর্টিকেল এর সাথে ফুটনোটের সম্পর্ক রিলেট করতে পারেন। নিচে একটি ফুটনোট উদাহরণ হিসেবে দেওয়া হল।
আরো পড়ুন, গ্রন্থপঞ্জি লেখার নিয়ম
ফুটনোট লেখার নিয়ম
- পাদটীকা বা ফুটনোট প্রতীক চিহ্ন (বিশেষ করে সংখ্যা) দিয়ে চিহ্নিত করুন।
- পৃষ্ঠার একদম নীচে প্রতীকটি পুনরায় লিখে আপনার মন্তব্য বা রেফারেন্স লিখুন।
- যথাসম্ভব মূল আর্টিকেলের একটি বাক্যের শেষে ফুটনোটের জন্য সংখ্যা রাখুন অথবা এটি সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক শব্দের শেষে রাখুন।
- ফুটনোট চিহ্নের দুটি স্পেসের পর পরবর্তী বাক্য শুরু করুন।
- ফুটনোটের তথ্য নির্দেশ বা রেফারেন্স দেওয়ার জন্য The Chicago বা MLA স্টাইল ব্যবহার করুন।
বি:দ্র: ফুটনোট ও এন্ডনোটের মধ্যে তথ্যনির্দেশে কোনরুপ পার্থক্য নেই। তবে উভয়ের যায়গা আলাদা। ফুটনোটের তথ্য দেওয়া থাকে প্রতিটি পাতার একদম শেষে, কিন্তু এন্ডনোটের তথ্য দেওয়া হয় মূলত কোন অনুচ্ছেদ বা অধ্যায়ের শেষে।
ফুটনোটের বিন্যাস (শিকাগো স্টাইল)
ফরমেট: লেখকের পুরো নাম, গ্রন্থের নাম (প্রকাশনার স্থান: প্রকাশক, প্রকাশের সাল), পৃষ্ঠা সংখ্যা।
উদাহরণস্বরুপ: মাহবুবুল আলম, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (ঢাকা: ইউপিএল প্রকাশনী, ২০১৯), ৩০-৫০।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link