সামগ্রিক চাহিদা কি?
সামগ্রিক চাহিদা হল একটি দেশের অর্থনীতিতে উৎপাদিত সমস্ত পণ্য ও পরিষেবার চাহিদার মোট পরিমাণের পরিমাপ।
অর্থাৎ দ্রব্য বা সেবার সামগ্রিক চাহিদার পরিমাণ নির্ভর করে ভােক্তা, প্রতিষ্ঠান , সরকার এবং বিদেশীদের নেয়া সিদ্ধান্তের উপর। অন্যভাবে বলা যায় যে, সামগ্রিক চাহিদা হচ্ছে বিভিন্ন দামস্তরে বিভিন্ন ব্যক্তি , ফার্ম এবং সরকার মােট যে পরিমাণ দ্রব্য এবং সেবা ক্রয় করতে ইচ্ছুক ।
সামগ্রিক চাহিদা সামষ্টিক অর্থনৈতিক শব্দ যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে কোনো প্রদত্ত মূল্য স্তরে পণ্য ও পরিষেবার মোট চাহিদাকে প্রতিনিধিত্ব করে। দীর্ঘমেয়াদে সামগ্রিক চাহিদা মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) সমান কারণ দুটি একইভাবে হিসেব করা হয়। জিডিপি একটি অর্থনীতিতে উৎপাদিত পণ্য এবং পরিষেবার মোট পরিমাণকে প্রতিনিধিত্ব করে, কিন্তু সামগ্রিক চাহিদা সেই পণ্যগুলোর চাহিদা বা ইচ্ছার পরিমাপ করে। একই গণনা পদ্ধতির ফলে, সামগ্রিক চাহিদা এবং জিডিপি একসাথে বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়।
সামগ্রিক চাহিদা রেখা
সামগ্রিক চাহিদা রেখা বিভিন্ন মূল্যস্তরে একটি অর্থনীতির সকল দ্রব্য এবং সেবার চাহিদার পরিমাণকে নির্দেশ করে। অর্থাৎ সামগ্রিক চাহিদা রেখা বলতে এমন একটি রেখা বােঝায় যার বিভিন্ন বিন্দুতে উৎপাদন বা প্রকৃত আয় এবং দামস্তরের বিভিন্ন সংমিশ্রণ প্রকাশ পায়। সামগ্রিক চাহিদা রেখা বাম থেকে ডানদিকে নিম্নগামী হয়। এটি দ্বারা বুঝা যায় যে, অন্যান্য অবস্থা যখন অপরিবর্তিত থাকে তখন দামস্তর হ্রাস পেলে দ্রব্য বা সেবার সামগ্রিক চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং দামস্তর বৃদ্ধি পেলে দ্রব্য বা সেবার সামগ্রিক চাহিদার পরিমাণ হ্রাস পায়।
সামগ্রিক চাহিদার উপাদান
সামগ্রিক চাহিদার উপাদান ৫ টি। যেমন,
C = ভোগ ব্যয় (Consumption)
I = বিনিয়োগ ব্যয় (Invest)
G = সরকারি ব্যয় (Government)
X = রপ্তানি ব্যবধান (Export)
M = আমদানি ব্যবধান (Import)
সামগ্রিক চাহিদার সূত্র
সামগ্রিক চাহিদার সমীকরণটি ভোক্তার ব্যয়ের পরিমাণ, ব্যক্তিগত বিনিয়োগ, সরকারী ব্যয় এবং রপ্তানি ও আমদানির নেট যোগ করে। সূত্রটি নিম্নরূপ দেখানো হয়েছে:
সামগ্রিক চাহিদা=C+I+G+Nx (X - M)
C=পণ্য এবং পরিষেবার উপর ভোক্তাদের ব্যয়
I= ব্যক্তিগত বিনিয়োগ এবং কর্পোরেট ব্যয়
G= সামাজিক খাতে সরকারি ব্যয় ও পরিষেবা (অবকাঠামো, মেডিকেয়ার, ইত্যাদি)
Nx = নিট রপ্তানি (রপ্তানি - আমদানি)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link