সিমলা চুক্তি
সিমলা চুক্তি, ১৯৭১ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংগঠিত যুদ্ধ শেষে সম্পাদিত একটি শান্তিচুক্তি। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রধান তিনটি পক্ষ ছিল ভারত, পাকিস্তান ও মুক্তিবাহিনী।
যুদ্ধ পরবর্তী একটি শান্তিকামী জাতি হিসেবে ভারতের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল ভারতের জন্য খুবই জরুরি। এরই প্রেক্ষাপটে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সিমলায় এক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়ে (২৮ জুন - ২ জুলাই ১৯৭২) দীর্ঘ আলোচনার পর একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন।
১৯৭২ সালের ২ জুলাই, ভারতের সিমলায় একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা সিমলা চুক্তি নামে পরিচিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সিমলা চুক্তির ফলাফল
- এই চুক্তির ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সকল বৈরিতার অবসান ঘটে।
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা।
- ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত, জম্মু ও কাশ্মীরে বিরাজমান স্থিতাবস্থা পুনঃস্থাপনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।
- চুক্তির অধীনে, ভারত সকল যুদ্ধবন্দিকে বিনাবিচারে পাকিস্তানে ফেরত পাঠায়।
- কাশ্মীরে দু‘দেশের নিয়ন্ত্রণ রেখা উভয়পক্ষ মেনে নেবে এবং উভয় দেশের সেনাবাহিনীর বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকবে। শেষে এই নিয়ন্ত্রণ রেখাকেই মেনে নেয়া হয় আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে।
ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে আরও একটি ‘সার্বিক সমঝোতা’ করে, যা সন্ধির দলিলে উল্লিখিত ছিল না। এতে ছিল পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদেশকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি প্রদান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link