অপারেশন সার্চলাইট কি
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ওপর যে সেনা অভিযান চালানো হয়েছিল তার সাংকেতিক নাম হল ‘অপারেশন সার্চলাইট’। মেজর জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি অপারেশনের মূল পরিকল্পনা তৈরি করেন।
এই অপারেশনে পরিচালনার অনেকগুলো উদ্দেশ্য ছিলো পাকিস্তান সরকারের। নিম্মে অপারেশন সার্চলাইটের উদ্দেশ্য সমূহ বর্ণনা করা হল।
অপারেশন সার্চলাইট উদ্দেশ্য
- পূর্ব পাকিস্তানের বিদ্রোহ বা বিরোধিতাকে কঠোরভাবে দ'মন করা।
- বাঙ্গালি সেনা সদস্য ও পুলিশকে নি'রস্ত্র করা। বিশেষ করে পিলখানায় ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের অস্ত্রাগার, রাজারবাগ পুলিশ এবং চট্টগ্রামের অস্ত্রভাণ্ডারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া।
- সব রকমের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বি'চ্ছিন্ন করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে নতুন করে যাচাই-বাছাই করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হবে।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলো ঘিরে ফেলতে হবে। অস্ত্র ও চিহ্নিত স'ন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতে হবে।
- সাধারণ জনবসতি, বিশেষ করে হিন্দু এলাকাগুলোতে অনুসন্ধান এবং আ'ক্রমণের কর্তৃত্বও প্রদান করা।
- পূর্বপাকিস্তানে একযোগে অ'পারেশন শুরু করতে হবে।
- রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতা, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ এবং শিক্ষকদের গ্রে'ফতার করতে হবে।
- সেনানিবাসকে সুরক্ষিত রাখার প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ক্ষমতায় অ'স্ত্র ব্যবহারের কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়।
- টেলিফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও টেলিগ্রাফ সহ সকল অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।
- ঢাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ হলে পাকিস্তানের ৯ম এবং ১৬তম ডিভিশনের সৈন্যরা শক্তিবৃদ্ধির জন্য বিমান যোগে ঢাকা চলে আসবে। যেসব শহরে বিমানঘাঁটি আছে, সেসব শহরে সরাসরি ঢাকা থেকে বিমান অথবা হেলিকপ্টার যোগে শক্তি বৃদ্ধি করা হবে।
- শেখ মুজিবকে জী'বিত অবস্থায় গ্রে'ফতার করতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link