সরকারি বিল ও বেসরকারি বিলের মধ্যে পার্থক্য

আইন আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আইন ছাড়া আমরা কোনো সঠিক বিচার পেতে পারি না। বিশ্বে বিভিন্ন ধরণের আইন রয়েছে, যেগুলো কিছু নির্দিষ্ট উপায়ে তৈরি করা হয়। বিল হচ্ছে আইনের একটি খসড়া প্রস্তাব। বাংলাদেশে বিলের তিনটি প্রধান শ্রেণীবিভাগ রয়েছে: সাধারণ বিল, অর্থ বিল এবং আর্থিক বিল।

সাধারণ বিল হল এমন একটি বিল যা আর্থিক বিষয়ের সাথে কোন সম্পর্ক নেই এবং যা সংসদে সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়। সাধারণ বিল আবার দুই প্রকার যেমন পাবলিক বিল এবং প্রাইভেট বিল।

সরকারি বিল ও বেসরকারি বিলের মধ্যে পার্থক্য, azhar bd academy

সাধারণ বিল সংসদে উত্থাপনের জন্য রাষ্ট্রপতির সুপারিশের প্রয়োজন নেই কিন্তু "অর্থ বিল" এবং "আর্থিক বিল" উভয়ের জন্য সংসদে উত্থাপনের পূর্বে রাষ্ট্রপতির সুপারিশ প্রয়োজন।


সংসদে বিল যখন একজন মন্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত হয় তখন এটিকে সরকারী/পাবলিক বিল বলে কিন্তু যদি একজন নন-মন্ত্রী সংসদ সদস্য বা এমপি এটি উপস্থাপন করেন তবে এটিকে বেসরকারি বিল বলে। নিম্মে সরকারি বিল ও বেসরকারি বিলের মধ্যে পার্থক্য প্রধান পার্থক্য বর্ণনা করা হল।

সরকারি বিল ও বেসরকারি বিলের পার্থক্য

সরকারি বিল
যে বিল কোন মন্ত্রী কর্তৃক সংসদে উত্থাপিত হয়, তাকে সরকারি বিল বা পাবলিক বিল বলে। সরকারি বিল সংসদে উত্থাপিত হওয়ার পূর্বে, তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি মোতাবেক সরকারী বিল উত্থাপনের জন্য মন্ত্রীকে বিল উত্থাপনের ৭ দিন পূর্বে সংসদ সচিবের কাছে নোটিশ প্রদান করতে হয়।

বেসরকারি বিল
কোন সংসদ সদস্য (সরকার দলীয়, বিরোধীদল, স্বতন্ত্র) কর্তৃক যে বিল সংসদে উত্থাপিত হয়, তাকে বেসরকারি বিল বা প্রাইভেট বিল বলে। বেসরকারী বিল উত্থাপনের পূর্বে, বিলের প্রতিলিপি সংসদে স্পীকারের নিকট নোটিশসহ প্রদান করতে হয়। এরপর, বিলটি সংসদে উত্থাপনের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। 

অনুমতির পর, বিলের পক্ষে-বিপক্ষে মতামত এবং শেষে ভোটের আয়োজন করা হয়। বিলের প্রস্তাবটি সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে সম্মতি পেলে তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। বিল উত্থাপন করতে চাইলে তাকে সংসদ সচিবের কাছে লিখিত নোটিশ দিতে হয়। 

Do not enter any harmful link

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Do not enter any harmful link

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন