ক্রয়ক্ষমতা সমতা আন্ত:দেশীয় মুদ্রার প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা পরিমাপের একটি জনপ্রিয় সূচক। এটি একটি তত্ত্বীয় পদ্ধতি, যার মাধ্যমে দুইটি ভিন্ন মুদ্রার দীর্ঘমেয়াদে বিনিময় হারের সাহায্যে তাদের ক্রয়ক্ষমতা পরিমাপ করা হয়।
ক্রয়ক্ষমতা সমতা কী
ক্রয়ক্ষমতা সমতা অর্থনৈতিক তত্ত্বটি সাধারণত সারা বিশ্বের দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা তুলনা করতে ব্যবহৃত হয়। একটি দেশের অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা এবং জীবনযাত্রার মান নির্ণয় করার জন্য একটি জনপ্রিয় অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ হল ক্রয় ক্ষমতা সমতা বা পিপিপি।
ক্রয় ক্ষমতা সমতা (Purchasing Power Parity) বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিনিময় হার নির্ধারণের একটি অর্থনৈতিক তত্ত্ব।
১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে, সুইডেনের অর্থনীতিবিদ গুস্তাফ কাসেল ক্রয়ক্ষমতা সমতা তত্ত্বটি প্রচার করেন। এটি একটি পণ্যের একটি নির্দিষ্ট মূল্যমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ, কোনো নির্দিষ্ট আদর্শ বাজারে, কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের একটিই মাত্র মূল্যমান থাকবে।
উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকার ১টি কম্পিউটারের দাম ১০০০ মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশে সেই একই কম্পিউটারটির দাম ১,০০০০০ টাকা, তাহলে মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা হার হবে ১ মার্কিন ডলার (১,০০,০০০/১,০০০) = ১০০ টাকা। পিপিপির বিনিময় হারের জন্য ১০০ টাকার মান হবে ১ মার্কিন ডলার।
যদি কোনো পণ্যের আঞ্চলিক বিনিময় হার তুল্য মুদ্রার মানের থেকে বেশি হয়, তবে কম বিনিময় হার বিশিষ্ট মুদ্রাটি বড় বিনিময় হার বিশিষ্ট মুদ্রার ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন করে। যদি এক বাক্স পণ্যের মূল্য এক ডলার হয়, এবং ঐ একই পরিমাণ ও মানের পণ্যের মূল্য যদি টাকায় ১০০ টাকা হয়, তবে ক্রয়ক্ষমতা সমতার বিনিময় হার হবে ১০০ টাকা সমান ১ ডলার।
যদি ধরা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য মূল্য ডলার এককে ১,৫০০ ডলার, এবং ঐ একই পণ্যের মূল্য যুক্তরাজ্যে পাউন্ড এককে ১,০০০ পাউন্ড; তবে মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা হার হবে প্রতি পাউন্ডে (১৫০০/১০০০) = ১.৫ ডলার।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link