ভৌত জগতে পরিমাপযোগ্য সকল কিছুকে রাশি বলে। কোন রাশি যখন পরিমাপ করা হয় তখন তার একটি মান থাকে। আবার কিছু রাশি পরিমাপ করতে মান এর সাথে দিকেরও প্রয়োজন হয়। এই আর্টিকেলে, আমরা স্কেলার ও ভেক্টর রাশি সংজ্ঞা, পার্থক্য এবং উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করব।
স্কেলার রাশি কি?
যে সকল ভৌত রাশিকে শুধু মান দ্বারা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা যায়, দিকের প্রয়োজন হয়না, তাদেরকে স্কেলার রাশি (Scalar quantity) বলে। স্কেলার রাশির মান প্রকাশ করতে শুধু একটি সংখ্যা এবং একক ব্যবহার হয়। যেমন, একটি টেবিলের দৈর্ঘ ২.৫ মিটার। এখানে দৈর্ঘের একক মিটার এবং টেবিলের দৈর্ঘ ২.৫ মিটার।
স্কেলার রাশির উদাহরণ
বিভিন্ন ধরনের স্কেলার রাশির মধ্যে রয়েছে, দৈর্ঘ, ভর, দ্রুতি, কাজ, ক্ষমতা, শক্তি, ঘনত্ব, তাপ, তাপমাত্রা, সময়, আয়তন, তরঙ্গদৈর্ঘ্য, কম্পাংক, বিস্তার, দীপনমাত্রা, দীপন ক্ষমতা, বিদ্যুৎ প্রবাহমাত্রা, রোধ, চার্জ, প্রতিসরাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক, চৌম্বক বিভব, বৈদ্যুতিক বিভব, বিচ্যুতি ইত্যাদি।
ভেক্টর রাশি কি?
যে সকল ভৌত রাশিকে সম্পূর্ণরুপে প্রকাশের জন্য মান ও দিক উভয়ের প্রয়োজন হয়, তাদেরকে ভেক্টর রাশি (Vector quantity) বলে। যেমন, একটি গাড়ি ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার বেগে চলছে, এর অর্থ হচ্ছে গাড়িটি এক ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করছে। কিন্তু গাড়িটি কোন দিকে চলছে তা বুঝতে হলে মানের সাথে দিকেরও প্রয়োজন হবে। এখন যদি আমরা বলি গাড়িটি পূর্ব দিকে ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার বেগে যাচ্ছে। তাহলে পুরোপুরি গাড়িটির প্রকৃত অবস্থা জানা যায়।
ভেক্টর রাশির উদাহরণ
সরণ, বেগ, ওজন, ভরবেগ, ত্বরণ, মন্দন, বল, বলের ঘাত, বলের ভ্রামক, চৌম্বক ভ্রামক, চৌম্বক দৈর্ঘ্য, চৌম্বক প্রাবাল্য, বৈদ্যূতিক প্রাবাল্য, পৃস্টটান, সান্দ্রতা, গুনাঙ্ক, অভিকর্ষজ ত্বরণ ইত্যাদি ভেক্টর রাশির উদাহরণ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link