দশমিক ভগ্নাংশ কি?
সাধারণত, দশমিক চিহ্ন দ্বারা যে সংখ্যা প্রকাশ করা হয় তাকে দশমিক সংখ্যা বলে। দশমিক দ্বারা যে ভগ্নাংশ প্রকাশ করা হয়, তাকে দশমিক ভগ্নাংশ (Decimal fraction) বলে।
দশমিক ভগ্নাংশের প্রকারভেদ
দশমিক ভগ্নাংশ ৩ প্রকার। যেমন-
যেমন- ৪.৫, ৮.৮৯৩, ০.০৫ ইত্যাদি।
- সসীম দশমিক ভগ্নাংশ
- অসীম দশমিক ভগ্নাংশ
- আবৃত/ পৌনঃপুনিক দশমিক ভগ্নাংশ।
যেমন- ৪.৫, ৮.৮৯৩, ০.০৫ ইত্যাদি।
২. অসীম দশমিক ভগ্নাংশ: কোন ভগ্নাংশকে দশমিকে প্রকাশ করলে যদি দশমিকের পরে অংকগুলো না মিলে বা অসীমভাবে চলতে থাকে, তাকে অসীম দশমিক ভগ্নাংশ বলে।
যেমন- ২৫/২৩= ১.০৮৬৯৫৬৫২১.....................
৩. আবৃত বা পৌনঃপুনিক দশমিক ভগ্নাংশ: ভাগফলে দশমিক বিন্দুর পরে একই অঙ্ক বারবার বা একাধিক অঙ্ক পর্যায়ক্রমে বারবার আসে। এ ধরনের দশমিক ভগ্নাংশকে বলা হয় আবৃত্ত বা পৌনঃপুনিক দশমিক ভগ্নাংশ।
* দশমিক ভগ্নাংশে যে অঙ্কটি বারবার আসে তাকে আবৃত্ত অঙ্ক বলে।
৩. আবৃত বা পৌনঃপুনিক দশমিক ভগ্নাংশ: ভাগফলে দশমিক বিন্দুর পরে একই অঙ্ক বারবার বা একাধিক অঙ্ক পর্যায়ক্রমে বারবার আসে। এ ধরনের দশমিক ভগ্নাংশকে বলা হয় আবৃত্ত বা পৌনঃপুনিক দশমিক ভগ্নাংশ।
* দশমিক ভগ্নাংশে যে অঙ্কটি বারবার আসে তাকে আবৃত্ত অঙ্ক বলে।
যেমন- ২৫.২৪৫২৪৫
১০.৫০০
(+) ২.০৮০
দশমিক ভগ্নাংশে যোগ-বিয়োগ
দশমিক ভগ্নাংশের যোগ ও বিয়োগের ক্ষেত্রে প্রদত্ত সংখ্যাগুলোকে এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে দশমিক বিন্দুগুলো নিচে নিচে পড়ে। যেমন :১০.৫০০
(+) ২.০৮০
১৫৩.৭৭
(-) ২.১১
দশমিক ভগ্নাংশে গুণ
প্রথমে প্রদত্ত সংখ্যাদ্বয় থেকে দশমিক বিন্দু বর্জন করে সাধারন গুণের মতই গুণ করতে হবে। অতঃপর গুণফলে দশমিক বিন্দু বসাতে হয়। এক্ষেত্রে, গুণ্যে ও গুণকে দশমিক বিন্দুর ডানে যত গুলো অঙ্ক থাকে তা যোগ করে গুণফলে ততটি অঙ্কের বামে দশমিক বিন্দু বসাতে হয়। যেমন:(০.০৬৫৭×.৭৫)
৬৫৭
×৭৫
= (0.0657×.75) = 0.049275
দশমিক ভগ্নাংশের ভাগ
- ভাগের ক্ষেত্রে পূর্ণ সংখ্যার মতই ভাগ করা হয়।
- পূর্ণসংখ্যা ভাগ শেষ হলেই দশমিক বিন্দু বসানো হয়।কারণ, তখন দশমাংসকে ভাগ করা হয়।
- প্রত্যেক ভাগশেষের ডানদিকে (শূণ্য) বসিয়ে ভাগশেষ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভাগের কাজ করতে হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link