শুল্ক (Duty) বলতে বোঝায় কর/খাজনা/ট্যাক্স ইত্যাদি। যেকোনো উৎপাদিত পণ্য এবং পরিষেবা বাজারজাতকরণের পূর্বে সরকারকে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর প্রদান করতে হয়, তাকেই শুল্ক বলে। শুল্কের মধ্যে আবগারি শুল্ক সরকারি রাজস্ব সংগ্রহের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আবগারি শুল্ক (Excise Duty) হল এক ধরনের পরোক্ষ কর যা সাধারণত সরকার দ্বারা নির্দিষ্ট পণ্য এবং পরিষেবার উৎপাদন, বিক্রয়, বা ক্রয়ের উপর আরোপ করা হয়। সাধারণত দেশের মধ্যে উৎপাদিত পণ্যের উপর আরোপিত হয়, তবে আমদানিকৃত পণ্যের উপরও আরোপ করা যেতে পারে।
দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্য কারখানা থেকে খালাসের সময় এই শুল্ক আদায় করা হয়। বাংলাদেশে আবগারী ও লবণ আইন ১৯৪৪-এর আওতায় আবগারী শুল্ক ধার্য করা হয়। যদিও দেশভেদে আবগারি শুল্ক হার ভিন্ন হতে পারে।
বাংলাদেশে আবগারি শুল্ক হার
বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচ স্তরে (টাকার অঙ্কে) আবগারি শুল্ক প্রদান করা হয়। কোনো হিসাবধারীর হিসাবে বছরে,
০ হতে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত আবগারি শুল্ক ০ টাকা।
১,০০,০০১ থেকে ৫,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত ১৫০ টাকা।
৫,০০,০০১ থেকে ১০,০০,০০০/- লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা
১০,০০,০০১ খেবে ১,০০,০০,০০০/- লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৩০০০ টাকা।
১,০০,০০,০০১ থেকে ৫,০০,০০,০০০/-লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১৫,০০০ টাকা।
৫,০০,০০,০০১ থেকে তদুর্ধ্ব যেকোনো পরিমাণের জন্য ৪০,০০০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়।
জেনে রাখা ভালো যে, আবগারি শুল্ক ব্যাংক কর্তৃক আরোপিত কোন চার্জ নয় বরং এটি সম্পূর্ণভাবে সরকার কর্তৃক আরোপিত এক ধরনের পরোক্ষ ‘কর’। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে, বাংলাদেশে পরিচালিত সমস্ত ব্যাংক ও গ্রাহকের প্রতিটি অ্যাকাউন্ট (সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ/ক্রেডিট কার্ড বা অন্যান্য অ্যাকাউন্ট) থেকে আবগারি শুল্ক কাটতে বাধ্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link