ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কি?
প্রতি বছর আরবি রবিউস সানি মাসের ১১ তারিখে ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম পালন করা হয়। এই দিনে দক্ষিণ এশিয়ায় সুফিবাদের প্রতিষ্ঠাতা ও বড় পীর হজরত আবদুল কাদির জিলানী রহ. এর ওফাত বা মৃত্যু দিবস। তিনি হিজরি ৫৬১ সনের ১১ রবিউস সানি তিনি ইন্তিকাল করেন।
‘ইয়াজদাহম’ একটি ফারসি শব্দ যার অর্থ এগারো। ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম বলতে এগারো তম দিনকে বোঝায়। হযরত আবদুল কাদের জিলানী রহ: ওফাত দিবসের এর স্মরণে ফাতিহা ই ইয়াজদাহম পালিত হয়।
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখে?
২০২৩ সালে অক্টোবরের ২৭ তারিখ (শুক্রবার) ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালিত হবে।
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর আমল
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর বিশেষ কোনো আমল নাই, তবে দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখতে তাঁর জীবনী নিয়ে আলোচনা, দোআ ইত্যাদি পাঠ করা যেতে পারে বলে।
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম সরকারি ছুটি?
বাংলাদেশে ফাতেহা ই ইয়াজদাহমে সরকারি ছুটি পালিত হয়। যদিও এই বছর শুক্রবারে দিবসটি হওয়ায় এমনিতেই ছুটির দিন থাকবে।
আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওফাতের প্রায় ৫০০ বছর পর, হযরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) এর জন্ম হয়। তিনি ইরানের জিলান শহরে হিজরি ৪৭০ সনের রমজান মাসের ১ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) ছিলেন একজন সুন্নি মুসলিম ধর্মপ্রচারক, তপস্বী, মরমী, আইনজ্ঞ এবং ধর্মতত্ত্ববিদ।
তাঁর পিতার নাম ছিল আবু সালেহ মুছা জঙ্গী এবং মাতার নাম সাইয়েদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা। ইসলাম প্রচারে তার অসামান্য অবদানের কারণে তাকে বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করা হয় যেমন শাইখুল ইসলাম, গাউসুল আজম, সুলতানুল আউলিয়া ইত্যাদি।
তিনি বাগদাদের মহান পীর হজরত আবু সাঈদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন মাখরুমির (রহ.) কাছ থেকে মারেফাতের জ্ঞান লাভ করেন এবং খেলাফত প্রাপ্ত হন।
তখন ইসলাম ধর্ম এক নাজুক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছিল। মানুষ পবিত্র কোরআন ও মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ ভুলে বিপথে পা বাড়িয়েছিল। ঠিক এমনি সময়, হজরত বড়পীর সাহেব ইসলামের পথে মানুষকে ডাক দিয়েছিলেন।
হিজরী ৫৬১ সালের ১১ রবিউসসানী আব্দুল কাদের পরলোক গমন করেন। মুত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তার ওফাত দিবস ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম হিসেবে পরিচিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link