যেকোনো ওয়েবসাইটের র্যাংকিং বাড়াতে ব্যাকলিংক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইটের জনপ্রিয়তা, গুগল সার্চে প্রথম দিকে থাকা এবং ডোমেইন অথরিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও ব্যাকলিংক অত্যন্ত বিরাট ভূমিকা রাখে।
কিন্তু অনেকেই এই ব্যাকলিংক সম্পর্কে জানেনা। আজকের আলোচনায় ব্যাকলিংক কি? এটির গুরুত্ব, এবং ব্যাকলিংক কিভাবে তৈরি করতে হয়, এসব বিষয় জানব।
ব্যাকলিংক কি? (What is backlink)
ব্যাকলিংক (Backlink) হল কোন ওয়েবসাইটের সাথে অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটের লিংক বা সংযোগ তৈরী করা। সহজভাবে বলতে গেলে, ব্যাকলিংক হলো আপনার ওয়েবসাইটের URL link অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটে থাকা। এই লিংকের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি এক্সটার্নাল লিংক (external link) পাবেন।
যত বেশি হাই কোয়ালিটি ব্যাংকলিংক তৈরি করবেন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট তত বেশি গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করবে। মানসম্পন্ন ব্যাকলিংক ওয়েবসাইট জন্য "একটি ভোট" পাওয়ার মতো। আপনি যত বেশি ভোট পাবেন, একটি সাইটের এসইও (র্যাঙ্কিং এবং গুগল সার্চ) এর উপর তত বেশি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ব্যাকলিংকের সুবিধা
১. ওয়েবসাইটের র্যাংকিং উন্নত করে
ব্যাকলিংক ভালো সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং পেতে সাহায্য করে।
২. আর্টিকেল বা কন্টেন্ট দ্রুত ইন্ডেক্সিং করে
সার্চ ইঞ্জিন বট বিদ্যমান ওয়েব পেজ থেকে ব্যাকলিংক অনুসরণ করে নতুন ওয়েব পেজ আবিষ্কার করে। ফলে, পোস্ট করার কিছু সময়ের মধ্যে গুগল ইন্ডেক্স করে নেয়।
৩. রেফারেল ট্রাফিক
ব্যাকলিংকের একটি বড় সুবিধা হল যে এটি রেফারেল ট্রাফিক পেতে সাহায্য করে।
৪. ডোমেইন অথরিটি বৃদ্ধি
আপনার সাইটের ডোমেইন অথরিটি বৃদ্ধিতে ব্যাকলিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্যাকলিংক কত প্রকার
ব্যাকলিংক প্রধানত দুই রকমের হয়ে থাকে যেমন,
nofollow
dofollow
১. Nofollow ব্যাকলিংক: যখন কোনো ওয়েবসাইট থেকে আশা backlink গুলো rel=nofollow ট্যাগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তখন সেটা nofollow backlink বলে। এই লিংক গুলো google বট link juice করে না, তাই এগুলো তেমন কাজের হয় না। সাধারণত এক্সটার্নাল বা আউটবাউন্ড লিংকগুলি nofollow করা হয়ে থাকে।
২. Dofollow ব্যাকলিংক: যখন কোনো ব্লগ থেকে আশা backlink গুলো rel=nofollow ট্যাগ ব্যবহার করা হয় না, তখন তাকে do follow link বলে। এই links গুলো মাধ্যমে গুগল জুস পাস করে দেয়। এজন্য এই লিংক গুলো অনেক কাজের। সাধারণত হাই অথরিটি সাইটের লিংকের ক্ষেত্রে dofollow করা হয়।
এছাড়া আপনি HTML পেজের মধ্যে আবার দুই রকম ভাবে লিংক বিল্ডিং করতে পারবেন।
১. ইন্টারনাল লিংক: ইন্টারনাল লিংক হলো আর্টিকেল ভিতরে থাকা ব্যাকলিংক। আমরা যখন আর্টিকেল লিখি, তখন লেখার মধ্যে নিজের ওয়েবসাইটের internal link দিয়ে backlink তৈরি করতে হয়।
২. এক্সটার্নাল লিংক: অন্যের ওয়েবসাইট থেকে নিজের ওয়েবসাইটে লিংক আশাকে বলা হয় এক্সটার্নাল লিংক।
কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করতে হয়?
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করতে নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
১. ইন্টারনাল লিংক বিল্ডিং
ব্যাকলিংক তৈরির ক্ষেত্রে ইন্টারনাল লিংকের ভূমিকা অনেক বেশি। আপনার ওয়েবসাইটে
কোনো পোস্টের সাথে অন্য পোস্টগুলির লিংক করলে ব্যাকলিংক তৈরী হবে।
২. গেস্ট পোস্টিং
হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার জন্য গেস্ট পোস্টিং একটি অসাধারণ মাধ্যম। গেস্ট পোস্টিং এর মাধ্যমে অন্যের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন এবং নিজের সাইটের কোনো পোস্টের লিংক রিসোর্স হিসাবে প্রদান করতে পারেন।।
এটির ফলে যেসব ভিজিটর সেই গেস্ট পোস্টটি পড়বে তখন তারা সেখানে আপনার তৈরি লিংক নেভিগেট করে আপনার সাইটেও ভিজিট করবে। গেস্ট পোস্টিংয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই হাই কোয়ালিটি ব্যাংকলিংক তৈরি করা যায়। সেইসাথে প্রচুর নতুন ভিজিটর আপনার সাইটে নিয়ে আসতে পারবেন।
নোট: আমরা গেস্ট পোস্ট সেবা দিয়ে থাকি। আপনার গেস্ট পোস্টের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
৩. ব্লগ কমেন্টিং
ব্যাকলিংক তৈরির জন্য ব্লগ কমেন্টিং একটি সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনার ব্লগ টপিক বা নিস (Niche) সম্পর্কিত কিছু সাইটের পোস্টের কমেন্ট সেকশনে কমেন্টের মাধ্যমে আপনার পোস্ট URL প্রদান করতে পারেন।
৪. প্রশ্ন-উত্তর ও ফোরাম সাইট
Quora হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং হাই অথরিটি প্রশ্ন উত্তর সাইট যেখান থেকে উন্ন মানের ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেন। আপনাকে এই সমস্ত সাইটে নিজের প্রোফাইল তৈরি করে সেখানে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটের URL যুক্ত করতে হবে।
৫. সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম
হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে পেজ বা প্রোফাইল বানিয়ে সেখানে একটি ভালো সংখ্যার ফলোয়ার তৈরী করতে পারেন। এসব সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপনার বিভিন্ন ব্লগ আর্টিকেল শেয়ার করার মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যাকলিংক তৈরি করে করতে পারবেন।
৬. ইউটিউব ভিডিও
ব্যাকলিংক তৈরির জন্য ইউটিউব চ্যানেল হতে পারে একটি অন্যতম মাধ্যমে। ব্লগ টপিকের উপরে বিভিন্ন ভিডিও তৈরী করে, আপনার ব্লগ সাইটের লিংক সেই ভিডিওগুলির ডেসক্রিপশন বক্সে ব্যবহার করুন।
ভিডিওর মাধ্যমে আপনার সাবস্ক্রাইবার বা ভিয়ার্সদের বলুন যে আপনার ব্লগ সাইটটি ভিসিট করতে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Do not enter any harmful link