সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল

সাঁওতাল বিদ্রোহ সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল ১৯ শতকে ব্রিটিশ ভারতে সংঘটিত একটি ঔপনিবেশিক ও জমিদারি শাসন-বিরোধী আন্দোলন। ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিশের প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর থেকে সাঁওতালদের উপর নির্যাতন শুরু হয়। তাই সিপাহী বিদ্রোহের আগে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতালরা প্রথম সোচ্চার হয়। হতাশাগ্রস্ত ও ক্ষুব্ধ সাঁওতালরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং তাদের নিজস্ব সৈন্যবাহিনী গঠন করে যার … Read more

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি (১৯৯৭)

পার্বত্য শান্তি চুক্তি কি? পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বা পার্বত্য শান্তি চুক্তি হলো ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত একটি রাজনৈতিক এবং শান্তি চুক্তি যা বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এর মধ্যে সম্পাদিত হয়। ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ঐতিহাসিক চুক্তিটি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনগণ ও উপজাতিদের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদান করে।  সেইসাথে শান্তিবাহিনী … Read more

চাকমা বিদ্রোহ : কারণ ও ফলাফল

চাকমা বিদ্রোহ ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। পরবর্তী, প্রায় দুইশত বছর ধরে সমগ্র ভারতবর্ষে ইংরেজরা শাসন করেছে। ইংরেজদের দীর্ঘদিনের শাসনে বিভিন্ন অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ বারবার প্রতিবাদ, বিদ্রোহ, এবং শেষে যুদ্ধ করেছে। বাংলার ইতিহাসে তিতুমীর বিদ্রোহ, সিপাহী বিদ্রোহ, মাস্টারদা সূর্য সেনের চট্টগ্রাম বিদ্রোহ তার উদাহরণ।  কিন্তু, এসব বিদ্রোহ ছাড়াও … Read more

ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ কি? বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল

ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহ কি পলাশি যুদ্ধের পর, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম যে বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছিল তা ইতিহাসে ফকির-সন্ন্যাসি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহ হলো আঠারো শতকের শেষের দিকে (১৭৬০-১৮০০ সাল) সংগঠিত সন্ন্যাসী ও ফকির তাপসদের তৎকালীন ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলন। আন্দোলনটি ১৭৬০ সাল থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ বছর স্থায়ী ছিল। কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রথম ফকিররা … Read more

সূর্যাস্ত আইন কি? সূর্যাস্ত আইনের প্রবর্তক

উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনে লর্ড কর্নওয়ালিসের বিভিন্ন সংস্কার কার্যাদির মধ্যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত একটি অন্যতম সংস্কার হিসেবে বিবেচিত ছিল। সূর্যাস্ত আইন ছিল এই চিরস্থায়ী বন্দোবস্তেরই একটা অংশ। মুগল শাসনামলে ভূমির মালিকানা ছিল রাষ্ট্রের। রায়ত বা প্রজাগণ তাতে প্রথাগত অধিকার ভোগ করত। আর জমিদারগন ছিলো প্রজাদের থেকে কর আদায়কারী এজেন্ট বা প্রতিনিধি।কিন্তু ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অধীনে জমি জমিদারদের ব্যক্তিগত … Read more

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কি? এর কারণ ও ফলাফল

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি রাজস্ব বা কর ব্যবস্থা। ১৭৯৩ সালে, লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যায় এই ব্যবস্থা চালু করেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হচ্ছে কর্নওয়ালিস ও বাংলার ভূমি মালিকদের মধ্যে সম্পাদিত একটি স্থায়ী চুক্তি। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন লর্ড কর্ণওয়ালিস। চুক্তির ফলে জমিদারগণ ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভূ-সম্পত্তির নিরঙ্কুশ স্বত্বাধিকারী হন। জমির স্বত্বাধিকারী ছাড়াও তারা চিরস্থায়ীভাবে অপরিবর্তনীয় এক … Read more

পাঁচশালা বন্দোবস্ত কি? এর প্রবর্তক

পাঁচশালা বন্দোবস্ত কি পাঁচশালা বা পঞ্চসনা বন্দোবস্ত হল ইংরেজ শাসনকালে রাজস্ব সংগ্রহের একটি কার্যক্রম, যা হেস্টিংসের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা নামে পরিচিত। পাঁচশালা বন্দোবস্ত হল ১৭৭২ সালে গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস কর্তৃক পাঁচ বছর মেয়াদে জমিদার বা ইজারাদারদের সাথে ভূমি বন্দোবস্ত করার একটি নীতি। সর্বপ্রথম, ১৭৬৫ সালে, ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘল সম্রাট হতে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। তবে, এর প্রকৃত ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল … Read more

বার ভূঁইয়া কারা? উৎপত্তি ও ইতিহাস

বার ভূঁইয়া কারা? ষোড়শ শতক থেকে সপ্তদশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে বাংলার যেসব বড় বড় জমিদার মূঘলদের অধীনতা মেনে নেয়নি এবং যারা শক্তিশালী সৈন্য ও নৌ-বহর নিয়ে মুঘল সেনাপতির বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ত তাদেরকে বাংলার ইতিহাসে বার ভূঁইয়া নামে ডাকে। বাংলার যেসব জমিদার মুঘল সম্রাট আকবর ও জাহাঙ্গীরের শাসনে মুঘল বিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো ইতিহাসে তাদেরকে বার ভূঁইয়া … Read more

মাৎস্যন্যায় কী?

মাৎস্যন্যায় কি পাল বংশের পূর্ববর্তী সময়ের বাংলার অসীম নৈরাজ্যকর অবস্থাকে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলে অভিহিত করা হয়। আর প্রচলিত অর্থে মাৎস্যন্যায় বলতে সেসময়ের অরাজকতা অবস্থাকেই বোঝায়। সংস্কৃত শব্দ মাৎস্যন্যায়-এর আক্ষরিক অর্থ ‘মাছের ন্যায়। মাছেদের জগতে বড় মাছ কর্তৃক সাবাড় হয় ছোট ছোট মাছ। দুর্বল নিমেষেই হয়ে যায় সবলের গ্রাস। মাছেদের জগতে যদিও বা এটাই নিয়ম, কিন্তু মানবসমাজে … Read more

দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা কি? এর প্রবর্তক

দ্বৈত শাসন কি বাংলায় দ্বৈত শাসন ১৭৬৫ সালে রবার্ট ক্লাইভ চালু করেছিলেন এবং ১৭৭২ সাল পর্যন্ত এটি অব্যাহত ছিল। এই ব্যবস্থার অধীনে, বাংলার প্রশাসন দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল- একটি দিওয়ানি এবং অপরটি নিজামত। দিওয়ানি বা রাজস্ব আদায়ের অধিকার কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল এবং নিজামাত (অর্থাৎ শান্তি -শৃঙ্খলা বজায় রাখার অধিকার) বা প্রশাসনিক অধিকার দেওয়া হয়েছিল নবাবকে। ইতিহাসে এটি দ্বৈত শাসন … Read more