সৌর ব্যতিচার কি?

সৌর ব্যতিচার কি? সৌর বিকিরণের কারণে স্যাটেলাইট সংকেতগুলিতে বিঘ্ন হওয়ার ঘটনাকে সৌর ব্যতিচার (Solar Interference) বলে। এটি ঘটে যখন স্যাটেলাইট এবং আর্থ স্টেশন সরাসরি সূর্যের সাথে একই লাইনে আসে এবং সূর্যের বিকিরণ স্যাটেলাইটের সংকেতকে প্রভাবিত করে। স্যাটেলাইট এবং মহাকাশযান প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সৌর ব্যতিচার দ্বারা প্রভাবিত হয়। সূর্য থেকে আসা উচ্চ-শক্তির কণা সংবেদনশীল মাইক্রোচিপগুলিকে ধ্বংস … Read more

শক্তি কি? শক্তির রূপ, প্রকার ও উদাহরণ

শক্তি বলতে বোঝায় কাজ করার ক্ষমতা। শক্তি বিভিন্ন রূপে বিদ্যমান থাকতে পারে, যেমন তাপ শক্তি, গতিশক্তি, আলোকশক্তি ইত্যাদি। এই শক্তিসমূহ সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না শুধুমাত্র এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত করা যায়। এই আর্টিকেলে, শক্তির সংজ্ঞা, প্রকার ও শক্তির বিভিন্ন রূপ, প্রকার এবং শক্তির শক্তির নিত্যতা সূত্র বা শক্তির সংরক্ষনশীলতার সূত্র সম্পর্কে বর্ণনা করা … Read more

অনবায়নযোগ্য শক্তি কি? উৎস ও উদাহরণ

পৃথিবীতে শক্তি আছে বলেই জীবজগত ও উদ্ভিদকূল বেঁচে রয়েছে। এই শক্তি দুটো উপায়ে পাওয়া যায়; একটি নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস থেকে, অন্যটি অনবায়নযোগ্য শক্তি থেকে।আমাদের প্রকৃতিতে বেশিরভাগ শক্তির উৎসই অনবায়নযোগ্য যেমন, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ সম্পদ, এবং কয়লা ইত্যাদি। এইসব অনবায়নযোগ্য শক্তি সীমিত সম্পদ হওয়ায় সময়ের সাথে সাথে শেষ হয়ে যাবে। এই আর্টিকেলে, আমরা অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎসসমূহ, ব্যবহার ও উদাহরণ সম্পর্কে বিস্তারিত … Read more

নবায়নযোগ্য শক্তি কি? উৎস, প্রকার ও ব্যবহার

জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশগত বিপর্যয় এবং টেকসই শক্তির উৎসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য শক্তি একটি প্রতিশ্রুতিশীল সমাধান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। নবায়নযোগ্য শক্তিসমূহ প্রাকৃতিক উৎস যেমন সূর্যালোক, বাতাস, জল, ভূতাত্ত্বিক তাপ এবং পরমাণুশক্তি ইত্যাদি থেকে আসে।  বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন এবং শিল্প প্রক্রিয়ায় নবায়নযোগ্য শক্তি বিভিন্ন ধরণের ব্যবহার রয়েছে, যা অসংখ্য পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুবিধা প্রদান করে। … Read more

আপেক্ষিক তত্ত্ব কি?

আপেক্ষিক তত্ত্ব (Theory of relativity) পদার্থবিজ্ঞানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এবং একই সাথে এটি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেছে। আপেক্ষিকতার তত্ত্ব মহাবিশ্ব এবং প্রকৃতি সম্পর্কে মানুষের ধ্যান-ধারণাকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করেছে। এই তত্ত্বের মাধ্যমে চার-মাত্রিক স্থান-কাল” এবং স্থানকালে বক্রতার মতো নতুন ধারণাগুলিকে সামনে এনেছে। সাধারণ বলবিদ্যা অনুযায়ী স্থান, কাল এবং ভরকে পরম বলে ধরা হয় কিন্তু বিজ্ঞানী আলবার্ট … Read more

প্যাসকেলের সূত্র-‌‌ সংজ্ঞা, উদাহরণ

ফরাসি গণিতবিদ ব্লেজ প্যাসকেল ১৬৫৩ সালে  প্যাসকেলের সূত্র প্রতিষ্ঠিত করেন যা ১৬৬৩ সালে প্রকাশিত হয়। ব্লেজ প্যাসকেল আবদ্ধতরল বা বায়ুবীয় পদার্থের চাপের সঞ্চালন সম্পর্কে যে সূত্র প্রদান করেছিলেন, তা প্যাসকেলের সূত্র (Pascal’s Law) নামে পরিচিত। প্যাসকেলের সূত্র ”কোন আবদ্ধপাত্রে স্থির তরল বা বায়বীয় পদার্থের কোনো অংশের ওপর বাইরে থেকে চাপ প্রয়োগ করলে, সেই চাপ কিছু মাত্র … Read more

ওহমের সূত্র : ব্যাখ্যা ও সীমাবদ্ধতা

ইলেকট্রিসিটির মৌলিক উপাদান হল ভোল্টেজ, কারেন্ট এবং রেজিস্ট্যান্স। পদার্থবিজ্ঞানে ওহমের সূত্র এই তিনটির মধ্যে একটি সরল সম্পর্ক দেখায়। এই আইনটি বিদ্যুতের সবচেয়ে মৌলিক আইনগুলোর মধ্যে একটি। এটি বৈদ্যুতিক সার্কিটের উপাদানের শক্তি, দক্ষতা, বিদ্যুত, ভোল্টেজ এবং রোধ নির্ণয় করতে সহায়তা করে। ওহমের সূত্র মূলত বৈদ্যুতিক সার্কিটে ভোল্টেজ, কারেন্ট এবং রোধের মধ্যে সম্পর্ক গণনা করতে ব্যবহৃত হয়।  … Read more

কুলম্বের সূত্র কি?

কুলম্বের সূত্র (Coulomb’s Law) হল পদার্থবিজ্ঞানের একটি সূত্র যা দুটি স্থির, বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কণার মধ্যে শক্তির পরিমাণ নির্ধারণ করে।  অর্থাৎ কুলম্বের সূত্র হল আধানযুক্ত দুটি বস্তুর মধ্যে বৈদ্যুতিক শক্তির একটি গাণিতিক বর্ণনা। ১৮ শতকে ফরাসি পদার্থবিদ চার্লস-অগাস্টিন ডি কুলম্ব সূত্রটি প্রণয়ন করেন। তিনি তড়িৎ চুম্বকত্বের যথেষ্ট উন্নতি সাধন করেন। কুলম্বের সূত্রানুসারে, দুটি চার্জযুক্ত বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ বা … Read more

আর্কিমিডিসের সূত্র

খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে, গ্রিক গণিতবিদ ও পদার্থ বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস আবিষ্কার করেন যে, কোনো বস্তুকে তরল অথবা বায়বীয় পদার্থে আংশিক বা সম্পূর্ণ ডুবালে বস্তুটি কিছু ওজন হারায় বলে মনে হয়। এই হারানো ওজন বস্তুটির দ্বারা অপসারিত তরল বা বায়বীয় পদার্থের ওজনের সমান। এটিকে আর্কিমিডিসের নীতি বা সূত্র বলা হয়। আর্কিমিডিসের নীতি থেকে আংশিক বা সম্পূর্ণ নিমজ্জিত … Read more

পড়ন্ত বস্তুর সূত্র

ইতালির বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিও (১৫৬৪ – ১৬৪২) সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুতে, মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর তিনটি সূত্র আবিষ্কার করেন। তিনি ১৫৮৯ সালে ফ্রান্সের একটি শহরে করা পরীক্ষণের ভিত্তিতে পড়ন্ত বস্তুর তিনটি সূত্র দেন, যা ১৬৫০ সালে বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন গিনি-পালক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেন। নিউটন দেখেন যে, একটি ভারী বস্তু (একটি গিনি) এবং একটি হালকা বস্তু (একটি পালক) স্থির … Read more