পাবলিক পলিসি কি? সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও প্রক্রিয়া

পাবলিক পলিসি প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। সরকার জনগণের কল্যাণে নীতি প্রণয়ন করে। সাধারণত, নীতি নির্ধারকেরা কোন একটি সমস্যার প্রতিক্রিয়া হিসাবে পাবলিক পলিসি তৈরি করে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার কী করবে তা নির্ধারণ করে। নিম্মে পাবলিক পলিসির কি? এর সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও পলিসি প্রণয়নের ধাপসমূহ আলোচনা করা হল। পাবলিক পলিসি কি? পাবলিক … Read more

কাস্টিং ভোট কি?

কোন বিষয়ে দুই পক্ষের হ্যাঁ বা না ভোটের সংখ্যা সমান হলে এমন অবস্থায় স্পীকার নিজের ভোট দিয়ে সংসদে/সভার অচলাবস্থা দূর করেন। স্পীকারের এই ভোটকেই কাস্টিং ভোট বলা হয়ে থাকে। কাস্টিং ভোটের মাধ্যমে একটি প্রস্তাব পাস হয়। ক্যামব্রিজ ডিকশনারির মতে, ‘‘কোনো একটি বিষয়ে ভোটের সংখ্যা সমান হলে সভার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির দেওয়া একটি একক ভোটকে কাস্টিং ভোট (casting … Read more

ন্যায়পাল কি? উৎপওি ও কার্যাবলী

ন্যায়পাল কি? ন্যায়পাল শব্দটির ইংরেজি Ombudsman যার অর্থ প্রতিনিধি বা মুখপাত্র। ন্যায়পাল বলতে এমন একজন রাষ্ট্রীয় বা সরকারি কর্মকর্তাকে বোঝায়, যিনি যেকোন বিষয়ে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে পারেন।  ন্যায়পাল হলেন সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা, যিনি ব্যবসা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী বিভাগ বা অন্যান্য পাবলিক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ (সাধারণত বেসরকারী নাগরিকদের দ্বারা দায়ের করা) তদন্ত করেন এবং … Read more

ছায়া মন্ত্রিসভা (Shadow cabinet) কি?

ছায়া মন্ত্রিসভা কি? ব্রিটিশ সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি অনুসারে, সরকারকে জবাবদিহি করতে সরকারের বিপরীতে বিরােধী দলও একটি মন্ত্রিসভা গঠন করে, যাকে ছায়া মন্ত্রিসভা (Shadow cabinet) বলা হয়।ছায়া মন্ত্রীরা বিরোধী দলের প্রধান নেতা দ্বারা নিযুক্ত হন। ছায়া মন্ত্রিসভা প্রকৃত মন্ত্রিসভার কর্মকাণ্ডের উপর গভীর নজর রাখে।  এটি থাকার ফলে বিরোধীরা সরকারের প্রকৃত কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও জানতে পারে।যদিও ছায়া মন্ত্রিসভার … Read more

ফ্লোর ক্রসিং কি?

পার্লামেন্টে ফ্লোর ক্রসিং (Floor crossing) করার অর্থ হল পক্ষ পরিবর্তন করা। অর্থাৎ একটি রাজনৈতিক দল ছেড়ে অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়াকে ফ্লোর ক্রসিং বলে।  ফ্লোর ক্রসিং প্রধানত দুভাবে হতে পারে। (১) বিপক্ষ দলে সরাসরি যোগ দিয়ে, অথবা (২) সংসদে কোন বিলে নিজের দলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে। একজন সংসদ সদস্য (বা কাউন্সিল) অন্য দলে যোগ দিতে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী … Read more

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পার্থক্য

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ২টি সরকারি পদ। উভয়ের কাজের কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্র রয়েছে। যদিও ম্যাজিস্ট্রেট বলতে সাধারণত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বোঝায় (ফৌজদারি কার্যবিধির (২০০৭ সালে সংশোধিত) ৪ক ধারা)। কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (CrPC), ১৮৯৮ অনুযায়ী, বাংলাদেশে দুই শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে যথা: (ক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং (খ) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। উভয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া, পদ এবং বিচারিক কার্যক্রমে … Read more

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কি? এর যোগ্যতা, ক্ষমতা ও কার্যাবলী

ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪ক(১)(ক) অনুযায়ী “ম্যাজিস্ট্রেট” বলতে শুধুমাত্র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে (Judicial Magistrate) বোঝায়। ২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৈরি হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অন্যতম পার্থক্য হলো জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একজন আসামিকে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেটি পারেন না। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট … Read more

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কি? এর কাজ, ক্ষমতা ও যোগ্যতা

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্বাহী বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেট যারা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের সাধারণত পদ হলো সহকারী কমিশনার, ম্যাজিস্ট্রেট নয়। তবে, ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১০(৫) অনুযায়ী সরকার চাইলে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরকে সীমিত আকারে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করতে পারে। তখন তাদেরকে বলা … Read more

ম্যাজিস্টেট কাকে বলে? ম্যাজিস্টেট এর প্রকার, কার্যাবলী

ম্যাজিস্টেট কাকে বলে? ম্যাজিস্ট্রেট হলেন একজন সিভিল অফিসার যার কাছে আইন পরিচালনা ও প্রয়োগ করার ক্ষমতা। এছাড়া তার সীমিত বিচারিক ক্ষমতাও রয়েছে। আইন পরিচালনা ও প্রয়োগ করার সীমিত কর্তৃত্ব সহ একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে ম্যাজিস্ট্রেট বলে।  Magistrate শব্দটি ল্যাটিন  Magistratus শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ শাসক (Administrator)। বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধির (২০০৭ সালে সংশোধিত) ৪ক ধারা অনুযায়ী, ম্যাজিস্ট্রেট বলতে শুধুমাত্র … Read more

দুর্নীতি দমন কমিশনের গঠন ও কার্যাবলী

দুর্নীতিকে কার্যত ব্যক্তিগত লাভের জন্য অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এর জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০০৪ সালে প্রবর্তিত একটি আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হয়। যদিও প্রাথমিকভাবে, এটি তার কাঙ্ক্ষিত প্রভাব তৈরি করতে পারেনি। ২০০৭ সালে দুদকের পুনর্গঠনের পরপরই, সংস্থাটি নতুনভাবে কাজ শুরু করে। এর কাঠামো এবং কার্যকারিতা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ … Read more