প্যাসকেলের সূত্র-‌‌ সংজ্ঞা, উদাহরণ

ফরাসি গণিতবিদ ব্লেজ প্যাসকেল ১৬৫৩ সালে  প্যাসকেলের সূত্র প্রতিষ্ঠিত করেন যা ১৬৬৩ সালে প্রকাশিত হয়। ব্লেজ প্যাসকেল আবদ্ধতরল বা বায়ুবীয় পদার্থের চাপের সঞ্চালন সম্পর্কে যে সূত্র প্রদান করেছিলেন, তা প্যাসকেলের সূত্র (Pascal’s Law) নামে পরিচিত। প্যাসকেলের সূত্র ”কোন আবদ্ধপাত্রে স্থির তরল বা বায়বীয় পদার্থের কোনো অংশের ওপর বাইরে থেকে চাপ প্রয়োগ করলে, সেই চাপ কিছু মাত্র … Read more

ওহমের সূত্র : ব্যাখ্যা ও সীমাবদ্ধতা

ইলেকট্রিসিটির মৌলিক উপাদান হল ভোল্টেজ, কারেন্ট এবং রেজিস্ট্যান্স। পদার্থবিজ্ঞানে ওহমের সূত্র এই তিনটির মধ্যে একটি সরল সম্পর্ক দেখায়। এই আইনটি বিদ্যুতের সবচেয়ে মৌলিক আইনগুলোর মধ্যে একটি। এটি বৈদ্যুতিক সার্কিটের উপাদানের শক্তি, দক্ষতা, বিদ্যুত, ভোল্টেজ এবং রোধ নির্ণয় করতে সহায়তা করে। ওহমের সূত্র মূলত বৈদ্যুতিক সার্কিটে ভোল্টেজ, কারেন্ট এবং রোধের মধ্যে সম্পর্ক গণনা করতে ব্যবহৃত হয়।  … Read more

তড়িৎ বিশ্লেষণ কি? সংজ্ঞা, সূত্র

তড়িৎ বিশ্লেষণ কি? তড়িৎ বিশ্লেষণ (Electrolysis) হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি রাসায়নিক পরিবর্তনকে প্রভাবিত করার জন্য একটি পদার্থের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক প্রবাহ প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ তড়িৎ বিশ্লেষণ হল একটি স্বতঃস্ফূর্ত রাসায়নিক বিক্রিয়াকে সংঘটিত করার জন্য বৈদ্যুতিক প্রবাহের ব্যবহার।  তড়িৎ বিশ্লেষণের সংজ্ঞা মতে, তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের দ্রাবনের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে … Read more

তেজস্ক্রিয়তা কি? প্রকার, বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার

তেজস্ক্রিয়তা কি? তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণের ঘটনাকে তেজস্ক্রিয়তা (Radioactivity) বলে। তেজস্ক্রিয়তার একক হলো বেকরেল (Bq)। ইউরেনিয়াম, রেডিয়াম ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পদার্থ। তেজস্ক্রিয়তা হলো ভারী মৌলিক পদার্থের নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবিরত আলফা, বিটা ও গামা রশ্মির বিকিরন। এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত নিউক্লীয় ও স্বাভাবিক ঘটনা।পর্যায় সারণির যেসব মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ৮২-এর বেশি সেগুলো মূলত তেজস্ক্রিয় পদার্থ। প্রকৃতিতে প্রাপ্ত মৌল সমূহের মধ্যে তেজস্ক্রিয় মৌল … Read more

কুলম্বের সূত্র কি?

কুলম্বের সূত্র (Coulomb’s Law) হল পদার্থবিজ্ঞানের একটি সূত্র যা দুটি স্থির, বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কণার মধ্যে শক্তির পরিমাণ নির্ধারণ করে।  অর্থাৎ কুলম্বের সূত্র হল আধানযুক্ত দুটি বস্তুর মধ্যে বৈদ্যুতিক শক্তির একটি গাণিতিক বর্ণনা। ১৮ শতকে ফরাসি পদার্থবিদ চার্লস-অগাস্টিন ডি কুলম্ব সূত্রটি প্রণয়ন করেন। তিনি তড়িৎ চুম্বকত্বের যথেষ্ট উন্নতি সাধন করেন। কুলম্বের সূত্রানুসারে, দুটি চার্জযুক্ত বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ বা … Read more

সুষম খাদ্য কি? সুষম খাদ্যের উপাদান

সুষম খাদ্য শরীরকে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে। এটি আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় ক্ষয় পূরণের জন্য সঠিত অনুপাতে খনিজ, ভিটামিন, অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ক্যালোরির যোগান দেয়। সুষম খাদ্য কি? সুষম খাদ্য হল এমন একটি খাদ্য তালিকা যাতে প্রোটিন, খনিজ, ভিটামিন, ক্যালোরি এবং পুষ্টিকর বিভিন্ন ধরণের খাবার নির্দিষ্ট অনুপাতে থাকে। সহজভাবে বলতে গেল, যেসব খাদ্যে মানবদেহের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান … Read more

নিষ্ক্রিয় গ্যাস কি? বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার

১৮ শতকের শেষের দিকে, হেনরি ক্যাভেন্ডিশ নিষ্ক্রিয় গ্যাস সমূহ আবিষ্কার করেছিলেন। পরবর্তীতে, এগুলোকে IUPAC দ্বারা পর্যায় সারণির ১৮ তম গ্রুপ বা শূন্য গ্রুপে স্থান দেওয়া হয়। নিষ্ক্রিয় গ্যাস কি? রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় এবং কক্ষ তাপমাত্রায় গ্যাসীয় মৌলিক গ্যাসকে নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলে। অর্থাৎ পর্যায় সারণির যেসব মৌলের পরমাণু ইলেকট্রন আদান, প্রদান বা শেয়ারের মাধ্যমে বন্ধন গঠন করে না, তাদেরকে … Read more

ধাতু ও অধাতুর পার্থক্য

ধাতু এবং অধাতু মৌলিক পদার্থের দুটি ভিন্নরূপ। ধাতু ও অধাতুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছাড়া এগুলো সনাক্ত করা একটু কঠিন। যদিও ধাতু একটি কঠিন, শক্ত, উজ্জ্বল এবং অস্বচ্ছ পদার্থ। অন্যদিকে, অধাতু সাধারণত নরম, অ-চকচকে, স্বচ্ছ এবং ভঙ্গুর হয়।  এই আর্টিকেলে, আমরা ধাতু ও অধাতুর সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য এবং ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য সমূহ আলোচনা করব। … Read more

ক্ষার ও ক্ষারকের পার্থক্য

ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে প্রধান পার্থক্য নির্ণয় করা হয় মূলত পানিতে দ্রবণীয় না-কি অদ্রবণীয় সেই ভিত্তিতে। কারণ সকল ক্ষারই মূলত ক্ষারক। ক্ষার পানিতে দ্রবীভূত হলেও ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় না। এই আর্টিকেলে, আমরা ক্ষার ও ক্ষারকের সংজ্ঞা, উদাহরণ এবং উভয়ের মধ্যে পার্থক্যসমূহ আলোচনা করব। ক্ষার কি? “ক্ষার” শব্দটি আরবি থেকে এসেছে, যার অর্থ ক্যালসিনযুক্ত ছাই। ক্ষার হল জলে … Read more

এসিড ও ক্ষারকের পার্থক্য

রাসায়নিকভাবে এসিডের বিপরীতধর্মী পদার্থ হল ক্ষারক। এসিড এবং ক্ষারকের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল, এসিড পানিতে হাইড্রোনিয়াম আয়নের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি করে। অপরদিকে, ক্ষারক তা হ্রাস করে। এসিড ও ক্ষারকের পার্থক্য মূলত pH এর মানের উপর নির্ভর করে। এসিডের pH ৭ এর কম থাকে। পিএইচ (pH) যত কম হয়, এসিড তত শক্তিশালী হয়। বিপরীতে, ক্ষারকের pH ৭ থেকে ১৪ এর মধ্যে থাকে। … Read more