গড় কাকে বল? গড় নির্ণয়ের সূত্র, উদাহরণ

গড় কাকে বলে? বিভিন্ন রাশির সমষ্টি বা যোগফলকে উক্ত রাশিগুলোর মোট সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যাবে, তাকে ঐ রাশি বা সংখ্যাগুলোর গড় (average) বলে। গড় বলতে সাধারণত গাণিতিক গড়কেই বোঝায়। গাণিতিক গড় (Arithmetic average) হলো একাধিক সংখ্যা বা রাশির সকল মানকে প্রতিনিধিত্বকারী একটি একক মান। উদাহরণস্বরুপ, সুমন এর বয়স ২৮ বছর। ইমামের … Read more

সূচক কী? সূচকের সংজ্ঞা ও সূত্রাবলী

বড় বা ছোট সংখ্যাকে সূচকের সাহায্যে লিখে খুব সহজে এবং কম সময়ে প্রকাশ করা যায়। ফলে, বিভিন্ন গণনা ও গাণিতিক সমস্যা সমাধান সহজে করা যায়। তাছাড়া সূচকের মাধ্যমেই সংখ্যার বৈজ্ঞানিক বা আদর্শ রূপ প্রকাশ করা হয়। সূচক কী? গণিতে সূচক হল ঘাত বা শক্তি যা একটি সংখ্যার উপরে এবং ডানে ছোট আকারে লেখা থাকে। উদাহরণস্বরুপ … Read more

লগারিদম কি? লগারিদমের সূত্রাবলী

লগারিদম কি? গ্রিক শব্দ Logos ও Arithmas থেকে Logarithm শব্দ দুটির উৎপত্তি হয়েছে। Logos শব্দটির অর্থ হলো আলোচনা এবং Arithmas শব্দটির অর্থ হলো সংখ্যা। সুতারং  Logarithm এর সম্পূর্ণ অর্থ হলো ‘সংখ্যার আলোচনা’। সাধারণত সূচকীয় রাশির মান বের করতে লগারিদম ব্যবহার করা হয়। যদি a^x= n হয়, তবে x কে n এর a ভিত্তিক লগারিদম বা … Read more

সমান্তর ও গুণোত্তর ধারা: সংজ্ঞা, সূত্রাবলী

কোনো সংখ্যা বা রাশির অনুক্রমের পদ বা সংখ্যাগুলোকে ধারাবাহিক সমষ্টিকে ধারা বলে। অর্থাৎ অনুক্রম এর পদ বা সংখ্যা সমূহের যোগফলই ধারা। উদাহস্বরুপ, 1+3+5+7+9+…+25 এর সমষ্টি =169। এটি একটি ধারা, যার প্রতিটি পদের মধ্যে পার্থক্য 2 বা সমান। আবার 1+3+9+27+… … একটি ধারা, যার প্রতিটি অনুপাত সমান অর্থাৎ প্রথম পদকে দ্বিতীয় পদ দ্বারা ভাগ, দ্বিতীয় পদকে … Read more

প্যাসকেলের সূত্র-‌‌ সংজ্ঞা, উদাহরণ

ফরাসি গণিতবিদ ব্লেজ প্যাসকেল ১৬৫৩ সালে  প্যাসকেলের সূত্র প্রতিষ্ঠিত করেন যা ১৬৬৩ সালে প্রকাশিত হয়। ব্লেজ প্যাসকেল আবদ্ধতরল বা বায়ুবীয় পদার্থের চাপের সঞ্চালন সম্পর্কে যে সূত্র প্রদান করেছিলেন, তা প্যাসকেলের সূত্র (Pascal’s Law) নামে পরিচিত। প্যাসকেলের সূত্র ”কোন আবদ্ধপাত্রে স্থির তরল বা বায়বীয় পদার্থের কোনো অংশের ওপর বাইরে থেকে চাপ প্রয়োগ করলে, সেই চাপ কিছু মাত্র … Read more

শব্দ দূষণ: কারণ, প্রভাব ও প্রতিকার

ক্রমবর্ধমান যানবাহন, বিমান, শিল্প মেশিন, টেলিভিশন, রেডিও, লাউডস্পিকার, জেনারেটর ইত্যাদিতে উচ্চ মাত্রায় শব্দ ব্যবহারের কারণে শব্দ দূষণ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। Noise শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘Nausea’ থেকে এসেছে, যার অর্থ বমি করার প্রবণতা সহ অসুস্থতার অনুভূতি। শব্দ দূষণ হল একটি অপ্রীতিকর এবং অবাঞ্ছিত অবস্থা যা মানুষের অস্বস্তির দিকে নিয়ে যায়। শব্দের তীব্রতা ডেসিবেলে (ডিবি) পরিমাপ … Read more

ওহমের সূত্র : ব্যাখ্যা ও সীমাবদ্ধতা

ইলেকট্রিসিটির মৌলিক উপাদান হল ভোল্টেজ, কারেন্ট এবং রেজিস্ট্যান্স। পদার্থবিজ্ঞানে ওহমের সূত্র এই তিনটির মধ্যে একটি সরল সম্পর্ক দেখায়। এই আইনটি বিদ্যুতের সবচেয়ে মৌলিক আইনগুলোর মধ্যে একটি। এটি বৈদ্যুতিক সার্কিটের উপাদানের শক্তি, দক্ষতা, বিদ্যুত, ভোল্টেজ এবং রোধ নির্ণয় করতে সহায়তা করে। ওহমের সূত্র মূলত বৈদ্যুতিক সার্কিটে ভোল্টেজ, কারেন্ট এবং রোধের মধ্যে সম্পর্ক গণনা করতে ব্যবহৃত হয়।  … Read more

তড়িৎ বিশ্লেষণ কি? সংজ্ঞা, সূত্র

তড়িৎ বিশ্লেষণ কি? তড়িৎ বিশ্লেষণ (Electrolysis) হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি রাসায়নিক পরিবর্তনকে প্রভাবিত করার জন্য একটি পদার্থের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক প্রবাহ প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ তড়িৎ বিশ্লেষণ হল একটি স্বতঃস্ফূর্ত রাসায়নিক বিক্রিয়াকে সংঘটিত করার জন্য বৈদ্যুতিক প্রবাহের ব্যবহার।  তড়িৎ বিশ্লেষণের সংজ্ঞা মতে, তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের দ্রাবনের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে … Read more

তেজস্ক্রিয়তা কি? প্রকার, বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার

তেজস্ক্রিয়তা কি? তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণের ঘটনাকে তেজস্ক্রিয়তা (Radioactivity) বলে। তেজস্ক্রিয়তার একক হলো বেকরেল (Bq)। ইউরেনিয়াম, রেডিয়াম ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পদার্থ। তেজস্ক্রিয়তা হলো ভারী মৌলিক পদার্থের নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবিরত আলফা, বিটা ও গামা রশ্মির বিকিরন। এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত নিউক্লীয় ও স্বাভাবিক ঘটনা।পর্যায় সারণির যেসব মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ৮২-এর বেশি সেগুলো মূলত তেজস্ক্রিয় পদার্থ। প্রকৃতিতে প্রাপ্ত মৌল সমূহের মধ্যে তেজস্ক্রিয় মৌল … Read more

কুলম্বের সূত্র কি?

কুলম্বের সূত্র (Coulomb’s Law) হল পদার্থবিজ্ঞানের একটি সূত্র যা দুটি স্থির, বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কণার মধ্যে শক্তির পরিমাণ নির্ধারণ করে।  অর্থাৎ কুলম্বের সূত্র হল আধানযুক্ত দুটি বস্তুর মধ্যে বৈদ্যুতিক শক্তির একটি গাণিতিক বর্ণনা। ১৮ শতকে ফরাসি পদার্থবিদ চার্লস-অগাস্টিন ডি কুলম্ব সূত্রটি প্রণয়ন করেন। তিনি তড়িৎ চুম্বকত্বের যথেষ্ট উন্নতি সাধন করেন। কুলম্বের সূত্রানুসারে, দুটি চার্জযুক্ত বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ বা … Read more